একুশের কবিতা
মা,গো ওরা বলে
কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা,
সজনে ডাটায় ভরে গেছে গাছটা, আর আমি গাছের ডালের বড়ি শুকিয়ে রেখেছি _খোকা তুই কবে আসবি! কবে ছুটি? চিঠিটা তার পকেটে ছিলো, ছেড়া আর রক্তে ভেজা। মাগো, ওরা বলে,সবার কথা কেরে নেবে
তোমার কোলে শুয়ে গল্প শুনতে দেবেনা।
বলো মা, তাই কি হয়? তাইতো আমার দেরী হচ্ছে।
তোমার জন্য কথার ঝুড়ি নিয়ে তবেই মা আমি
বাড়ি ফিরবো। লক্ষী মা, রাগ ক'রো না,
মাত্রতো আর কটা দিন। পাগল ছেলে,
মা পড়ে আর হাসে
'তোর উপরে রাগ করতে পারি।, নারকেলের
চিরে কোটে উড়কি ধানের মুড়কি ভাজে
এটা সেটা আরো কতো কি! তার খোকা যে বাড়ি ফিরবে ক্লান্ত খোকা! কুমড়ো ফুল শুকিয়ে গেছে, ঝড়ে পড়েছে
ডাটা; পুইলতাটা নেতানো!__ খোখা এলি?
ঝাপসা চোখে মা তাকায় উঠোনে, উঠোনে
যেখানে খোকার সব শকুনিরা ব্যবচ্ছেদ করে।
এখন, মা' র চোখে চৈত্রের রোদ
পুড়িয়ে দেয় শকুনিদের। তারপর, দাওয়ায় বসে মা,
আবার ধান ভানে বিন্নি ধানের খই ভাজে,
খোকা তারকখন আসে! কখন আসে!
এখন মা,র চোখে শিশির ভোর, স্নেহের রোদে ভিটে
ভরেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন